Translate

Wednesday, July 2, 2014

মোশা বাহিনীর টর্চার শেল, নির্মম নির্যাতন আতঙ্কে রূপগঞ্জের ৭০টি সংখ্যালঘু পরিবার

রূপগঞ্জের ত্রাস মোশাররফ হোসেন মোশা বাহিনীর আতঙ্কে নাওড়া এলাকার ৭০টি সংখ্যালঘু পরিবার আতঙ্কে ভুগছে। সেখানে গড়ে ওঠা মোশা বাহিনীর টর্চার সেলে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজনকে ধরে নিয়ে বর্বরোচিত কায়দায় নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতি রাতেই এসব সংখ্যালঘু পরিবারের গৃহবধূ ও সুন্দরী মেয়েদের ধরে নিয়ে মোশার রংমহলে ফূর্তি করা হয়। নির্যাতনের শিকার অনেকেই চিকিৎসা নিতে এলাকার বাইরে যেতে পারছে না। মোশা বাহিনী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা গোটা এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখে। বর্তমানে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে। মোশা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা কেউ টুঁ-শব্দ করতে সাহস করেন না। যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে মোশা রীতিমতো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলছে। মোশা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত এক দশক আগে নাওড়া এলাকায় প্রায় ১৫০ সংখ্যালঘু পরিবার বসবাস করত। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখানকার সংখ্যালঘু পরিবারগুলোর ওপরে নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। ওই সময় থেকেই মোশা বাহিনীর প্রধান মোশাররফ হোসেন মোশা, বদিউজ্জামান বদির লোলুপ দৃষ্টি পড়ে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি ও সুন্দরী মেয়েদের ওপর। এরপর থেকেই শুরু হয় তাদের ওপর নির্যাতন। যারা জমি আর ঘরের সুন্দরী নারী দিতে অস্বীকৃতি জানাতো তাদেরই মোশার টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করত। গত পাঁচ বছরে মোশা বাহিনীর নির্যাতন আর অত্যাচার সইতে না পেরে ৮০টির মতো পরিবার ভারতসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে। বর্তমানে যারা বসবাস করছে তারা পৈতৃক ভিটে রক্ষায় মাটি আঁকড়ে কোনো মতে বেঁচে আছেন।

মোশার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, সংখ্যালঘু পরিবারের কেউ জমি কিংবা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে রাতে অস্ত্রের মুখে তুলে নেওয়া হয় টর্চার সেলে। পরে রশি দিয়ে বেঁধে বিবস্ত্র করে বর্বরোচিত কায়দায় নির্যাতন করা হয়। সম্প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আশাপূর্ণ দাস তার জমি বিক্রি থেকে মোশার দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় তার ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। তাকে টর্চার সেলে ধরে নিয়ে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে শরীরে লবণ ও মরিচের গুঁড়া মেখে বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। তাকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাওড়া এলাকার একজন সংখ্যালঘু গৃহবধূ বলেন, 'একদিন আমারে দেইখ্যা মোশার খারাপ নজর পড়ে। পরে আমারে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না অওনে রাইত কইরা হের লোকজন অস্ত্র দেহাইয়া আমার সোয়ামীর সামনে থেইক্যা ধইরা নিয়া যায়। সারারাইত নির্যাতন কইরা ছাইড়া দেয়। জীবনের ভয়ে মামলাও করবার পারি নাই। ভগবান ওর বিচার করবো।' গত কয়েক দিন আগে এক কর্মকার পরিবারের ১৬ বছরের যুবতী মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায় মোশা বাহিনী। পরে হাত রশি দিয়ে বেঁধে মোশা ও বদি রাতভর পাশবিক নির্যাতন করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই যুবতী জানায়, তাকে রাতে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে মোশার রংমহলে বিবস্ত্র করে হাত রশি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। পরে মোশা ও বদি মিলে নির্যাতন করে। এ সময় হুমকি দিয়ে বলে, মুখ খুললে জীবনে মেরে ফেলবে। সূত্রটি আরও জানায়, নিজেদের রংমহল ছাড়াও মোশা ও বদি ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে ফূর্তি করে। গত দুই মাস আগে ঢাকার এক আবাসিক হোটেলে নারী নিয়ে ফূর্তি করার সময় বদিউজ্জামান বদিকে পুলিশ হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে ৪০ হাজার টাকায় রফাদফা শেষে নিজেকে কোনো মতে রক্ষা করে বদি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংখ্যালঘু পরিবারের কয়েকজন বলেন, আমরা ভোট দেই শেখের বেটিরে। নৌকা মার্কা আমাগো জান-পরাণ। শেখের বেটি আমাগো জীবন। এটাই কি আমাদের অপরাধ?

সরেজমিন এলাকা ঘুরে জানা যায়, মোশা বাহিনীর ভয়ে সংখ্যালঘু পরিবারগুলো ঠিকমতো কাজে যেতে পারছে না। এসব পরিবারের কেউ কামার, কেউ দিনমজুর, কেউ মুড়ি বিক্রেতা আবার কেউবা কৃষক। এদের অনেকেই এখন খেয়ে না খেয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছে। স্থানীয়রা জানান, যেসব পরিবার মোশার নামে জমি লিখে দিতে না চায় তাদেরই কাজে যেতে দেওয়া হয় না। মোশাররফ বাহিনী গোটা এলাকা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। অপরিচিত কেউ এলাকায় ঢুকতে পারে না। আর যারা এলাকায় বসবাস করছে তারাও এলাকার বাইরে যেতে পারছে না। এলাকাবাসী বলেন, নাওড়া এলাকাটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। গ্রামটির দক্ষিণে খাল। পশ্চিমে বালু নদী। উত্তরে-পূর্বে দীর্ঘ ফাঁকা জায়গা। দুর্গম এ এলাকায় পুলিশ কিংবা র‌্যাবের যেতে লাগে দীর্ঘ সময়। ফলে মোশা ও তার বাহিনী অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তোলার সুযোগ পেয়েছে। প্রশাসনের লোকজন এলাকায় পৌঁছতে-পৌঁছতে মোশা বাহিনী ঘটনা ঘটিয়ে আত্দগোপনে চলে যায়। প্রশাসনের লোকজন চলে আসলে তারা আবার এলাকায় দাবড়ে বেড়ায়। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, রূপগঞ্জের মিনি গডফাদারখ্যাত মোশার সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের রয়েছে কানেকশন। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রধান আসামি ও মিনি গডফাদার নূর হোসেন, সুব্রত বাইনসহ অনেক কিলারের সঙ্গে মোশার ছিল সম্পর্ক। মোশার রয়েছে অস্ত্রের ভাণ্ডার। রয়েছে মাদকের গোডাউন। মোশা নিজেকে কোনো সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছের লোক, কোনো সময় ডিআইজির আত্দীয়, কোনো সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার আত্দীয় আবার কোনো সময় দুই-তিনজন এমপির ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এদিকে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন বর্তমানে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পাশাপাশি মোশা বাহিনীর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। মোশা বাহিনীর নির্যাতন ও অত্যাচার থেকে বাঁচাতে সংখ্যালঘু পরিবারগুলো প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2014/06/21/12993#sthash.QCPfw5Zw.dpuf

Tuesday, July 1, 2014


জাকির নায়েককে ন্যাংটা করে দিল কোচিপোস্ট : প্রতি মিনিটে পাঁচটি ভুল বলেন জাকির নায়েক



নিজের প্রতিটি বক্তৃতায় ‘পণ্ডিত’ জাকির নায়েক হাজারও তথ্য দিয়ে শ্রোতা-দর্শকদের বিমোহিত করেন। তার বক্তব্যে থাকে তত্ত্ব ও তথ্যের প্রাচুর্য। এ কারণে সাধারণ শ্রোতারা বিশ্বাস করতে প্রলুব্ধ হন যে, জাকির নায়েক আসলেই একজন জবরদস্ত পণ্ডিত, জ্ঞানী লোক। কিন্তু কোচিপোস্ট এই জাকির নায়েকের পাঁচ মিনিটের একটি বক্তব্য বিশ্লেষণ করে বলছে, তিনি আসলে কথা বলতে গিয়ে প্রতিমিনিটে কমপক্ষে পাঁচটি ভুল করেন।

পাঠকদের সুবিধার্থে পুরো ক্লিপটি বাংলায় ভাষান্তর করে দেওয়া হলো।

জাকির নায়েক তার এই বক্তৃতায় বলেন, ডারউইন গবেষণা করতে কেলাট্রপিক নামের একটি দ্বীপে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে কেলাট্রপিক দ্বীপ বলতে পৃথিবীতে কিছু নাই। ডারউইন আসলে গিয়েছিলেন গেলাপোগাস দ্বীপে।

* এরপর জাকির নায়েক বলেন, ডারউইন দেখতে পান, গেলাপোগাস দ্বীপের পাখিরা একটি বাস্তুতন্ত্রের সদস্য হিসেবে খাদ্য প্রাচুর্যে বসবাস করছেন। কিন্তু সত্য হচ্ছে, ডারউইন আসলে দেখতে পেয়েছিলেন, পাখিগুলো ভিন্ন ভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের সদস্য হিসেবে বসবাস করছে।

*এ প্রসংগে জাকির নায়েক আরও বলেন, বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য প্রাচুর্যের ওপর ভিত্তি করে পাখিদের ঠোঁটের আকার ছোট-বড় হয়। কিন্তু সঠিক তথ্য হচ্ছে, ডারউইন বলছেন, বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য প্রাচুর্যের ওপর ভিত্তি করে পাখির আকার, স্বর, রঙ ও খাদ্যাভাসও বদলে যায়।

*এরপর জাকির নায়েক বলেন, ডারউইন পাখিদের আচরণের এই পরিবর্তন শুধু একটি প্রজাতির পাখিতে লক্ষ্য করেছিলেন। কিন্তু সঠিক তথ্য হচ্ছে- ডারউইন আসলে এই পরিবর্তন চৌদ্দটি ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির ক্ষেত্রে খেয়াল করছেন।

*এবার জাকির নায়েক বলেন, চার্লস ডারউইন এই কথাগুলো থমাস থর্মটন নামের একজন বন্ধুকে চিঠি লিখে পাঠান। কিন্তু সত্য হচ্ছে, ডারউইনের থমাস থর্মটন নামের কোন বন্ধু কোন কালেই ছিল না।

*জাকির নায়েক বলেন, চার্লস ডারউইন নিজেই বলছেন, প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বদলে যাওয়ার ধারাবাহিকতা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না। ডারউইন তা স্বীকার করলেও মেনে নেননি। কিন্তু সত্য হচ্ছে, প্রজাতির ধারাবাহিকতা স্পষ্ট বুঝতে না পারার সাথে বিবর্তনবাদ মিথ্যা হয়ে যাওয়ার কোন সম্পর্ক নাই। বরং চার্লস ডারউইন দেখিয়েছেন, কিভাবে এই ধারাবাহিকতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব।

*জাকির নায়েক এ প্রসঙ্গে আরও বলেন- এর কারণ হচ্ছে, চার্চ বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু সত্য হচ্ছে, চার্চ কখনই বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে ছিল না।

* জাকির নায়েক বলেন, চার্চ গ্যালিলিওকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। কিন্তু সত্য হচ্ছে, চার্চ কখনই গ্যালিলিওকে মৃত্যুদণ্ড দেয়নি। আসলে তাকে ১৬৩৩ সালে চার্চ গৃহবন্দী করেছিল। এর আট বছর পর গ্যালিলিও গৃহবন্দী অবস্থায় মারা যান।

* জাকির নায়েক এবার বলেন, ডারউইন বেঁচে থাকাকালীন অন্য বিজ্ঞানীরা বিবর্তনবাদকে সমর্থন করেছিল। এই সমর্থন করার কারণ ছিল, তত্ত্বটি বাইবেলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাচ্ছে। কিন্তু তত্ত্বটি সত্য না মিথ্যা তা বিজ্ঞানীরা যাচাই করতে যাননি। প্রকৃতপক্ষে ডারউইনের জীবদ্দশায় তো নয়ই তিনি মারা যাওয়ার দীর্ঘকাল পরে বিজ্ঞানীরা এই তত্ত্বটি গ্রহণ করতে শুরু করে।

*জাকির নায়েক বলেন, ডারউইন মানুষের বিবর্তন বোঝাতে চার প্রজাতির হোমিনাইটদের নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু সত্য হচ্ছে- ডারউইনের আলোচনায় হোমিনাইট নামের কিছু ছিল না। ডারউইন আসলে হোমোনয়েডদের নিয়ে আলোচনা করেছেন। ডারউনের মতে, এদের সংখ্যা চার নয় চৌদ্দ প্রজাতির।

*জাকির নায়েক বলেন, এই হোমোনয়েডদের একটি হচ্ছে ডসনোফাইটিকেস্ট। ডসনোফাইটিকেস্ট তিন দশমিক পাঁচ মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যায়। ওই সময়টাকে বরফ যুগ বলে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সত্য হচ্ছে- কোন প্রজাতির হোমনয়েডকেই এই ধরণের নামে নামকরণ করা হয়নি। এছাড়া জাকির নায়েক যেমন বলেছেন- বরফ যুগ বা আইস এজ তিন দশমিক পাঁচ মিলিয়ন বছর আগে এসেছিল তা সঠিক নয়, বরফ যুগ এসেছিল এক দশমিক ছয় মিলিয়ন বছর আগে।

*জাকির নায়েক বলেন, ডসনোফাইটিকেস্টদের পরই পৃথিবীতে হোমো সেপিয়েন্সদের আবির্ভাব হয়। এরা আবার ৫ লাখ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু সঠিক তথ্য হচ্ছে- হোমো সেপিয়েন্স বলতে আসলে আধুনিক মানুষকেই বোঝান হয়। জাকির নায়েক নিজেও হোমো সেপিয়েন্স। অথচ জাকির নায়েক বলছেন, হোমো সেপিয়েন্স বিলুপ্ত হয়ে গেছে পাঁচ লাখ বছর আগে।

* জাকির নায়েক বলেন, হোমো সেপিয়েন্সদের পরপরই আবির্ভাব হয় নিয়ানডার্থালদের। এরা এক লাখ চল্লিশ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু সঠিক তথ্য হচ্ছে- নিয়ানডার্থালরা ৩০ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে।

* জাকির নায়েক বলেন, নিয়ানডার্থালদের বিলুপ্তির পরপরই মানুষের বিবর্তনের চতুর্থ ধারায় ক্রোম্যাগননরা আবির্ভূত হয়। কিন্তু সঠিক তথ্য হচ্ছে- ক্রোমেগনন বলতে আলাদা কিছু নাই। ক্রোম্যাগনন বলতে আসলে হোমো সেপিয়েন্সদেরকেই বোঝান হয়।

* জাকির নায়েক বলেন, এই স্তরগুলোর মধ্যে কোন ধারাবাহিকতাই নাই। বিবর্তনে কোন ধারাবাহিকতা নাই বলে জাকির নায়েক বারবার বলতে থাকলেও বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে বিবর্তনে ধারাবাহিকতা আছে।

* জাকির নায়েক বলেন, বিজ্ঞামী আলবার্ট গোর্গি ভিটামিন সি উদ্ভাবন করেছিলেন। এই বিজ্ঞানী গর্গি, ডারউইনের তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করতে ‘ক্রেজি এপ এন্ড ম্যান’ নামের একটি বই লিখেছেন। কিন্তু সত্য হচ্ছে- বিজ্ঞানী গর্গি ভিটামিন সি উদ্ভাবন করেননি। সত্য হচ্ছে- ‘ভিটামিন সি’ প্রাকৃতিক উপাদান। ভিটামিন সি উদ্ভাবন করা হয়নি, আবিষ্কার করা হয়েছে। আর তিনি ‘ক্রেজি এপ এন্ড ম্যান’ নামের কোন বই লিখেননি। তার বইটির নাম ছিল ‘ক্রেজি এপ’ আর এই বইটি বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে তো নয়ই, এমনকি বইটি বিবর্তনবাদ নিয়েও না। বইটির বিষয় ছিল সমাজবিজ্ঞান।

* জাকির নায়েক বলেন, রুপার্ট এলবার্ট নামের একজন বিজ্ঞানী ডারউইনের বিবর্তনবাদের বিপরীতে আরও একটি তত্ত্ব দেন। অথচ সত্য হচ্ছে- বিবর্তন তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেছেন এমন কোন বিজ্ঞানীকেই খুঁজে পাওয়া যায় না।

* জাকির নায়েক বলেন, বিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্ক সেলসব্যারী বলেছেন, ডারউইনের তত্ত্বে বিশ্বাস করাটা অযৌক্তিক। আদতে ফ্র্যাঙ্ক সেলসব্যারী নামের কোন বিজ্ঞানীকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

* জাকির নায়েক বলেন, স্যার হুয়াইটমিট নামের আরেক জন বিজ্ঞানী ডারউইনের বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে বই লিখেন। অনুসন্ধান করে দেখা গেছে- স্যার হুয়াইটমিট নামের কোন বিজ্ঞানী নেই, ছিলেনও না।

কৃতজ্ঞতা: নতুন দিন ডটকম
দেখতে পারেন এখানেও : http://www.notun-din.com/?p=11276

স্বামীবাগ ইস্কন মন্দিরে মুসল্লিদের সহিংস হামলা


গতকাল সোমবার রাতে স্বামীবাগ ইস্কন মন্দিরে দেড় শতাধিক মুসল্লি হামলা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হিন্দুবার্তার নিজস্ব প্রতিনিধি জানায়, রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। তারাবীর নামাজ শেষ করে মুসল্লিরা মন্দিরে দলবদ্ধভাবে হামলা করে। হামলার পরপরই মন্দিরের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। শতাধিক মুসল্লি মন্দিরের প্রাচীরের বাইরে থেকে ভেতরে ইট-পাথর ছুড়ে মারে। এতে মন্দিরের জলের ট্যাংকসহ বেশকিছু স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা মন্দিরের গেইটে লাথির পর লাথি মারে আর অশ্রাব্য ও জিহাদী ভাষায় হিন্দুদের ও মন্দিরের নামে গালিগালাজ করে।



মন্দিরের ভক্তদের অভিযোগ, হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল। তাদের নীরব ভূমিকা নিয়ে সবাই প্রশ্ন তোলেন। তবে পরবর্তীতে অধিক সংখ্যক পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের পর রাত বারটার মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

হামলাকারী মুসল্লিদের দাবি তাদের নামাজের সময় মন্দিরের অনুষ্ঠানের শব্দ মাইকে সাউন্ড দিয়ে বাজানো হয়েছে। তবে মন্দিরে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ হিন্দুবার্তাকে জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই মন্দিরের কোন সংকীর্ত্তন বা অনুষ্ঠান মাইকে বাজানো হয়নি। তারা জানান, আমরা হিন্দুরা চিরকালই সকল ধর্মের সহাবস্থান ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। এদেশে সংখ্যাগুরু মুসলিমদের নামাজে বিঘ্ন ঘটিয়ে মন্দিরে মাইক বাজানো হবে এমন কথা কোন হিন্দু কল্পনাও করে না। এমতাবস্থায় মুসল্লিদের অভিযোগ একান্তই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছাড়া আর কিছুই নয়।

এদিকে দ্যা বাংলাদেশ হেরাল্ড নামের একটি অখ্যাত অনলাইন পত্রিকা উক্ত ঘটনায় হিন্দুদেরকে দোষী করে চরম বিকৃত ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক একটি সংবাদ পরিবেশন করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হিন্দুবার্তা প্রতিনিধি জানায় সংবাদটির নিরানব্বই ভাগই মিথ্যা ও বিকৃত। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে সংবাদটি হুবহু এখানে প্রকাশ করা হলো।

“তারাবীর নামাজে বাধা, মন্দিরের রথযাত্রি এবং মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ : মসজিদে তারা ঝুলানোর হুমকি পুলিশের”

বিডি হেরাল্ডঃ তারাবীর নামাযে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামীবাগ মন্দিরের রথযাত্রি এবং মসজিদের মুসল্লিদের মদ্ধে সংঘর্ষ হয়। মন্দিরের হিন্দু ধর্মাাবলম্বিদের ইটের আঘাতে এক মুসল্লির অবস্থা আশঙ্কাজনক।

৮২ নং স্বামীবাগে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ‘স্বামীবাগ জামে মসজিদ’ অপরদিকে ‘স্বামীবাগ মন্দির’ রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি প্রধান হিন্দু মন্দির।

অনুসন্ধানে জানা যায় মসজিদ এবং মন্দির দুটি পাশাপাশি অবস্থিত হয়ার কারনে ইবাদতে বিঘ্ন হওয়ার কারনে বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানিয় হিন্দু সম্প্রদায় এবং মসজিদের মুসল্লিরা একপক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করছিল।

মন্দিরের পক্ষ থেকে ৭ দিনব্যাপী রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। স্থানিয় মুসল্লিরা দবি করেন এই রথযাত্রার বাদ্য বাজনার কারনে তাদের ইবাদতে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য মসজিদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়নি।

অপর দিকে আজ রথযাত্রায় অসুবিধার কারনে তারাবির নামাজ চলাকালে মন্দিরের পক্ষ থেকে নামাজ রাত ১০টার মধ্যে শেষ করবার জন্য চাপ দেওয়া হয় মসজিদ কতৃপক্ষকে। কিন্তু তারাবির নামাজ দাবি মোতাবেক যথাসময়ে শেষ না করার কারনে মসজিদের মুসল্লিদের ঢিল ছোড়া শুরু করে মন্দিরের পক্ষথেকে। এসময় মসজিদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হলে মন্দির থেকে একদল লোক দা, লাঠি নিয়ে বের হয়ে মুসল্লিদের ধাওয়া করে। এসময় একজন মুসল্লি ইটের আঘাতে মারাত্মকভাবে যখম হয়।

কিন্তু ঘটয়ার পরপর ঘটনাস্থলে গেণ্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ উপস্থিত হয়। এবং মসজিদের ইমাম সাহেবকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালান। এসময় উপস্থিত মসজিদের মুসল্লিগন এবং মসজিদ কমিটির লোকজনের হস্তক্ষেপে ইমাম কে ছেড়ে দেন এসআই অমল কৃষ্ণ। মসজিদ কমিটির সভাপতি মহাম্মাদ সিরাজ বিডিহেরাল্ড কে জানান ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে তারাবির নামাজ রাত ১০টার মধ্যেই শেষ করতে করতে হবে। অন্যথায় মন্দিরের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার কারনে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। ” বলে হুমকি দেন গেন্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ।

এসময় মসজিদ কমিটির সভাপতি এসআই অমল কৃষ্ণের কাছে তারাবির নামাজ কিভাবে দ্রুত শেষ করব জানতে চাইলে এসআই অমল কৃষ্ণ দ্রুত পড়ে তারাবির নামাজ সেশ করবেন করবেন বলে জানান।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯ গাড়ি দাঙ্গা পুলিশ এসে এখন পুরো ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানিয় অনেক মুসল্লিরা তাদের বাসায় ফিরতে না পেরে আশেপাশের মসজিদে অবস্থান করছে বলে রাত ১টা ৪০ মিনিটে পর্যন্ত জানা যায়। বিশ্বস্ত সুত্র থেকে জানা যায় ঢাকা ৬ আসন এর সংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ বর্তমানে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন।

এ সময় কাজী ফিরোজ রশিদএর উপস্থিতেই মন্দিরের ভিতর থেকে শ্লোগান দিতে থাকে “মন্দিরে হামলা কেন,বিচার চাই। মসজিদে হামলা দেও!”