Friday, February 21, 2014
◄○কলিযুগ○►
কলিযুগের ব্যাপ্তিকাল ৪লক্ষ ৩২হাজার বছর । খ্রীস্টপূর্ব ৩১০১ এ কলিযুগের আরম্ভ হয় । বর্তমানে এযুগের ৫১১৩ বছর চলছে । দ্বাপরের অবসানে ব্রহ্মার পৃষ্ঠদেশ হতে অধর্মের সৃষ্টি হয় । কলিযুগের অবতার সমূহ-
•১→ বুদ্ধ অবতার । আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমী তিথিতে জন্মগ্রহন করেন ।
•২→ কল্কি অবতার । (কল্কি অবতার কলিযুগের অন্তে মানে শেষের দিকে আর্বিভাব ঘটবে ।শম্ভল গ্রামে (মোরাদাবাদ জেলায় ) সুমতি নামে ব্রাহ্মণ কন্যার গর্ভে , বিষ্ণুযশা নামে ব্রাহ্মণের বাড়িতে , কল্কি নামে ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতারের আর্বিভাব ঘটবে । কল্কি হবে বিষ্ণুযশা-সুমতির চতুর্থ সন্তান । বিষ্ণুযশা-সুমতির প্রথম তিন সন্তানের নাম হবে যথাক্রমে কবি, প্রাজ্ঞ আর সুমন্তক ।)
▓ কলিযুগের বৈশিষ্ট্যসমূহ ▓
☯ কলিযুগের তিনপাদ অর্থাত্ চারভাগের তিন ভাগ অধর্ম ও একপাদ বা চারভাগের একভাগ মাত্র ধর্ম পালন করে ।
☯ কলিযুগের আয়ুষ্কাল ১০০বছর।
☯ মহারাজ পরীক্ষিতের সময় কলিযুগের শুরু হয়।
☯ ভাগবতে বলা আছে ছলনা মিথ্যা আলস্য নিদ্রা হিংসা দুঃখ শোক ভয় দীনতা প্রভৃতি হবে এযুগের বৈশিষ্ট।
☯ বিষ্ণু পুরাণ মতে কম ধনের অধিকারী হয়ে মানুষ এ যুগে বেশী গর্ব করবে ।ধর্মের জন্য অর্থ খচর করবে না ।
☯ ধর্মগ্রন্থের প্রতি মানুষের আর্কষন থাকবে না ।
☯ মাতাপিতাকে মানবে না । পুত্র পিতৃহত্যা বা পিতা পুত্র হত্যা করতে কুন্ঠিত হবে না ।
☯ কলিযুগের প্রধান গুন হচ্ছে মানুষ কম পরিশ্রমে বেশী পূণ্য অর্জন করবে ।
☯ দান করাই হবে কলিযুগের শ্রেষ্ঠ ধর্ম ।
☯ চৈতন্য মহাপ্রভুর মতে হরিনাম সংকীর্তনই হবে কলিযুগের একমাত্র ধর্ম ।
☯ বিষ্ণু পুরাণ (৬/১/৮) এর মতে-
• মানুষ বৈদিক ক্রিয়া আচার সমূহ করবে না ।
• ধর্মানুসারে কেউ বিবাহিত থাকবে না ।
• স্ত্রীলোকরা কেবল চুলের বাহদুরী করেই নিজেকে সুন্দরী বলে মনে করবে ।
• ধনহীন পতিকে স্ত্রীরা ত্যাগ করবে । আর ধনবান পুরুষরা সেই স্ত্রীগণের স্বামী হবে ।।
• কলিযুগে ধর্মের জন্য ব্যয় না করে কেবল গৃহাদি নির্মাণে অর্থ ব্যয় করবে ।
• মানুষ পরকালের চিন্তা না করে কেবল অর্থ উর্পাজনের চিন্তাতেই নিরন্তর নিমগ্ন থাকবে ।
• কলিযুগে নারীরা সাধারনতঃ স্বেচ্ছাচারিণী ও বিলাস উপকরণে অতিশয় অনুরাগিণী হবে এবং পুরুষরা অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করতে অভিলাষী হবে ।
• সুহ্বদদের প্রার্থনাতে মানুষ নিজের অনুমাত্র স্বার্থ পরিত্যাগ করবেনা ।
• অসমর্থ মানুষরা ধনহীন হয়ে নিরন্তর দুর্ভিক্ষ ও ক্লেশ ভোগ করবে ।
• কলিকালে মানুষ স্নান না করে ভোজন করবে ।
• কলিকালে স্ত্রীলোকরা নিতান্তই লোভী হবে , বহু ভোজনশীল হবে ।
• স্ত্রীরা দুহাতে মাথা চুলকাতে চুলকাতে অনায়াসে পতি আজ্ঞা অবহেলা করবে । নিজের দেহ পোষণে ব্যস্ত থাকবে , নিরন্তন কঠোর ও মিথ্যা বাক্য বলবে ।
• আচারহীন ব্রাহ্মণপুত্ররা ব্রহ্মচারীর বেশ ধারন বেদ অধ্যয়ন করবে ।
• গৃস্থরা হোমাদি করবেন না এবং উচিত দানসমূহও প্রদান করবেন ।
• মানুষ অশাস্ত্রীয় তপস্যা করবে ।
• কলি কালে ৮থেকে ১০বছরের বালকেরা সহবাসে ৫থেকে ৭বছর বয়সের বালিকারা সন্তান প্রসব করবে ।
• মানুষ সর্বোচ্চ ২০ বছর বাঁচবে ।
• কলিকালে মানুষের বুদ্ধি অতি অল্প ,তাঁদের ইন্দ্রিয় প্রবৃত্তি অতিশয় কুত্ সিত ,তাদের অন্তকরণ অতিশয় অপবিত্র হবে । আর অল্প কালেই বিনাশ লাভ করবে । •
• যখন পাষন্ড লোকের প্রভাব অত্যন্ত বাড়বে , তখন সমাজের ভালো লোক কোন দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকবে না । সজ্জনের হানি লক্ষিত হবে ।
• অল্প বৃষ্টি হবে, কলিকালে ফসল কম হবে ।
• কলিকালে মানুষ শ্বশুরের অনুগত হয়ে, কার মাতা কার পিতা এরকম কথা বলবে ।
• সুন্দরী স্ত্রী যার তার সাথে বন্ধুত্ব হবে , নিজ ভাইয়ের সাথে শত্রুভাব পোষন করবে ।
Monday, February 17, 2014
একাদশী ব্রত পালনের উপকারিতা
>1<একাদশী ব্রত পালনের উপকারিতা#
>শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তার লীলাবিলাসের প্রথম
থেকেই একাদশীর উপবাসের প্রথা প্রবর্তন
করেছিলেন।শ্রীল জীব গোস্বামী তার ভক্তি সন্দর্ভ
গ্রন্থে স্কন্দ পুরাণ
থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন,যে মানুষ একাদশীর দিন
পঞ্চশষ্য আহার করে,সে সেই খাদ্যের সাথে সাথে তার
পিতা,মাতা,ভাই,আত্নীয় স্বজন,ব্রাক্ষ্মণ এমনকি গুরু
হত্যার পাপও ভক্ষন করে।যদি বৈকুন্ঠলোকেও উন্নীত
হয়,তবুও তার অধঃপতন হয়।একাদশীর দিন বিষ্ণুর জন্য
সবকিছু রন্ধন করা হয়,এমনকি অন্ন এবং ডালও,কিন্তু
শাস্ত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে,সে দিন বিষ্ণুর
প্রসাদ পর্যন্ত গ্রহন করা উচিত নয়।যে কোনো রকমের
শস্যদানা এমনকি অন্ন-তা যদি বিষ্ণু প্রসাদও হয়
তবুও তা গ্রহন করা কঠোর ভাবে নিষেদ করা হয়েছে।
**>বিধবা না হলেও শাস্ত্র অনুসারে একাদশীর ব্রত
পালন করার প্রথা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তন
করেছিলেন।[দ্রষ্ঠব্য=শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত"আদিলীল
া{15/8-10}।ভক্তি সহকারে একাদশী পালন করলে সকল
যজ্ঞ ও সকল প্রকার ব্রতের ফল লাভ হয়।একাদশীর সময়
করণীয়>রাত্রী জাগরন,বেশী বেশী করে হরিকথা শ্রবন।
এবং যা যা নিষিদ্ধ>পরনিন্দা,পরচর্চা,মিথ্য
াকথা,ক্রোধ,দুরাচারী দর্শন একদম নিষিদ্ধ।
একাদশীতে ধান,গম,যব,ভূট্রা ও সরিষা জাতীয়
যাবতীয় খাদ্য বর্জনীয়।তাই আসুন আমরা আর সংসার
জীবের মানুষ আর কিছু না পারি,অন্তত এই একদিন
একাদশী ব্রত পালন করার চেষ্ঠা করি।
আমাদের উক্ত POST টি ভালো লাগলে সবার
সাথে শেয়ার করুন।
একাদশী কি ভাবে পালন করবেন?
১.সমর্থ
পক্ষে দশমীতে একাহার, একাদশীতে নিরাহার ও
দ্বাদশীতে একাহার করিবেন। ২.তা হতে ও অসমর্থ
পক্ষে শুধুমাত্র একাদশীতে অনাহার।
৩.যদি উহাতেও অসমর্থ হন একাদশীতে পঞ্চরবিশষ্য
বর্জ্জন করতঃ ফল মূলাদি অনুকল্প গ্রহণের বিধান
রহিয়াছে। সমর্থ পক্ষে রাত্রি জাগরনের
বিধি আছে গৌড়ীয় ধারায় বা মহান আচার্যবৃন্দের
অনুমোদিত পঞ্জিকায় যে সমস্ত
একাদশী নির্জলা (জল ব্যতীত) পালনের নির্দেশ
প্রদান করেছেন। সেগুলি সেমতে করলে সর্বোত্তম
হয়। নিরন্তর কৃষ্ণভাবনায় থেকে নিরাহার
থাকতে অপারগ হলে নির্জলাসহ অন্যান্য
একাদশীতে কিছু সবজি ফল মূলাদি গ্রহণ
করতে পারেন। যেমন – গোল আলু, মিষ্টি আলু ও চাল
কুমড়া, পেঁপে, টমেটো,
ফুলকপি ইত্যাদি সবজি ঘি অথবা বাদাম তৈল
দিয়ে রান্না করে ভগবানকে উৎসর্গ করে আহার
করতে পারেন। হলুদ, লবন ও মরিচ ব্যবহার্য। আবার
অন্যান্য আহার্য যেমন – দুধ, কলা,আপেল, আঙ্গুর,
আনারস,আখ,আমড়া, শস্য, তরমুজ, বেল, নারিকেল,
মিষ্টি আলু, বাদাম ও লেবুর শরবত ইত্যাদি ফল
মূলাদিপেতে পারেন। স্মরণীয় একাদশীতে পাঁচ
প্রকার রবিশস্য গ্রহণ করতে নিষেধ
করা হইয়াছেঃ ১. ধান জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য
যেমন – চাউল, মুড়ি, চিড়া, সুজি, পায়েস,খিচুড়ি,
চাউলের পিঠা, খৈ ইত্যাদি। ২. গম জাতীয় সকল
প্রকার খাদ্য যেমন – আটা,ময়দা,সুজি, বেকারীর
রুটি বা সকল প্রকার বিস্কুট, হরলিকস জাতীয়
ইত্যাদি। ৩. যব বা ভূট্টা জাতীয় সকল প্রকার
খাদ্য যেমন – ছাতু, খই, রুটি ইত্যাদি। ৪. ডাল
জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন – মুগ, মাসকলাই,
খেসারী, মশরী, ছোলা, অড়হর,ফেলন, বরবটী ও শিম
ইত্যাদি। ৫. সরিষা তৈল, সয়াবিন তৈল, তিল তৈল
ইত্যাদি। উপরোক্ত পঞ্চ রবিশষ্য যে কোন
একটি একাদশীতে গ্রহণ করলে ব্রত নষ্ট হবে।
উল্লেখ্য যারা সাত্তি¡ক আহাড়ী নন এবং চা, বিড়ি/
সিগারেট, পান, কফি ইত্যাদি নেশা জাতীয় গ্রহণ
করেন একাদশী ব্রত পালনের সময় কাল পর্যন্ত
ঐগুলি গ্রহণ না করাই ভাল।
একাদশী করলে যে কেবলমাত্র নিজের জীবনের
সদ্গতি হবে তা নয় একাদশী ব্যক্তির প্রয়াত পিতা/
মাতা নিজ কর্মদোষে নরকবাসী হন তবে সেই পুত্রই
(একাদশী ব্রত) পিতা মাতাকে নরক থেকে উদ্ধার
করতে পারে। “ইন্দ্রিরা একাদশী” আশ্বিনের
কৃষ্ণা একাদশীর নাম। যদি কেহ কোন বিধি নিষেধ
পালন ছাড়া একাদশীর করার উদ্দেশ্যহীন
ভাবে (বাধ্যতামূলক) তিথিতে উপবাস থাকে ও
রাত্রি জাগরন করে তবে সে একাদশীর সম্পূর্ণ ফল
পাবে। একাদশীতে অন্ন ভোজন করলে যেমন
নিজে নরকবাসী হবে অন্যকে ভোজন করালেও
নরকবাসী হবে। কাজেই একাদশী পালন
করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। একাদশী পারণ –
পঞ্জিকাতে একাদশী পারণের যে সময়
দেওয়া থাকে সেই সময়ের মধ্যে পঞ্চ রবিশষ্য
ভগবানের নিবেদন করে প্রসাদ গ্রহণ করে পারণ
করা একান্তদরকার। নতুবা একাদশীর কোন ফল লাভ
হয় না। একাদশী ব্রত পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য
কেবল উপবাস করা নয়, নিরন্তর শ্রীভগবানের
স্মরণ, মনন ও শ্রবন কীর্ত্তনের মাধ্যমে একাদশীর
দিন অতিবাহিত করতে হয়। শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তদের
একাদশীর দিন পঁচিশ মালা বা যতেষ্ট সময়
পেলে আরও বেশী জপকরার নির্দেশ দিয়েছেন।
একাদশী পালনের সময় পরনিন্দা, পরিচর্চা,
মিথ্যা ভাষন, ক্রোধ, দুরাচারী, স্ত্রী সহবাস
সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
প্রশ্নঃ নমস্কার কি? নমস্কার কি সকলকে জানানো যায়? নমস্কার জানাতে হাত জোড় করা হয় কেন?
প্রশ্নঃ নমস্কার কি? নমস্কার
কি সকলকে জানানো যায়?
নমস্কার জানাতে হাত জোড় করা হয় কেন?
(শেয়ার
করে অন্যদের জানতে সাহায্য করুন)
উত্তর্ঃ ১>নমস্কার
বা নমস্তুতেবাঃ সংক্ষেপে নমস্তে হচ্ছে বৈদিক
হতে প্রচলিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কর্তৃক
ব্যবহৃত
অভিবাদনসূচক শব্দ। সাধারণত দুই হাত জোড়
করে 'নমস্কার' শব্দটি উচ্চারণ
করা হয়ে থাকে বলে একে অঞ্জলি মুদ্রা বা প্রণ
বলা হয়।
'নমস্কার' শব্দটি এসেছে মূল সংস্কৃত শব্দ
'নমঃ'থেকে যার
আভিধানিক অর্থ সম্মানজ্ঞাপনপূর ্বক অবনত
হওয়া।
২>ইদানিং সনাতন ধর্ম
বিরোধী নানা কুপ্রচারণার অংশ
হিসেবে একশ্রেণীর কুচক্রী মহল প্রচার
করে চলেছে যে ,
যেহেতু,নমস্কার শব্দটি অবনত হওয়ার
সাথে সংশ্লিষ্ট
তাই সাধারণ জনগণকে নমস্কার জানানো উচিত নয়
।
দেখা যাক,এ সম্পর্কে বৈদিক শাস্ত্র কি বলে !
"যো দেবো অগ্নৌ যো অপসু
যো বিশ্বং ভূবনাবিবেশ য
ওষধীষু যো বনস্পতি তস্মৈ দেবায়
নমো নমঃ॥"(শ্বেতাশ্ব
তর উপনিষদ ২-১৭)
"যোগ যেমন পরমাত্মার দর্শনের সাধন
বা উপায় ,নমস্কারাদিও অনুরূপ
বলিয়া তাঁহাকে নমস্কার
জানাই।''
তিনি কিরুপে?তিনি দেব অর্থাত্ পরমাত্মার
প্রকাশভাব ।
তিনি কোথায়? তিনি আছেন অগ্নিতে,জলে,তৃণ -
লতাদিতে,
অশ্বাথাদি বৃক্ষে,তিনি এই
বিশ্বভুবনে অন্তর্যামীরুপে অণুপ্রবিষ্ট
হইয়া আছেন।"
তাই যখন কাউকে নমস্কার জানানো হয় তখন মূলত
সর্বজীবে অন্তর্যামীরুপে অবস্থিত
পরমাত্মাকেই
প্রণতি নিবেদন করা হয় ,কোন মনুষ্যদেহকে নয়
।
সুতরাং,নমস্কার সকলকেই জানানো যায়।
৩>দুইহাত জোড় মূলত অহম্ ত্যাগ পূর্বক
বিনয়ভাব
প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
সংস্কৃতিভেদে করজোড়ে কিছুটা বৈচিত্র্য
দেখা যায় যেমন
দেবতাদের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ সম্মান
প্রদর্শন
করতে সাধকরা মাথার উপরে দু'হাত জোড়
করে থাকেআবার
কোন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাতে নমস্কার
জানাতে বুকের
বরাবর হাত জোড় করা একই
সাথে পরমাত্মাকে প্রণতি ও
আয়ুষ্মান (i.e.দীর্ঘায়ু কামনা) -কে নির্দেশ
করে।
নমস্কার, নমস্ক্রিয়া [ namaskāra,
namaskriẏā ] বি.
১. প্রণাম;
২. যুক্তকর কপালে ঠেকিয়ে অভিবাদন।
[সং. নমস্ + √ কৃ + অ, নমস্ + √ কৃ + অ + আ]।
নমস্কার সবাইকে। আপনারা চাইলে আর ও তথ্য যোগ
করতে পারেন।
শিব লিঙ্গ কি এবং কেন ?
শিব পূজা দু'রকম ভাবে হয় । শিব মূর্তি এবং শিব
লিঙ্গ।
লিঙ্গ শব্দের অর্থ প্রতীক বা চিহ্ন । যেমন-পুংলিঙ্গ,
স্ত্রী লিঙ্গ । লিঙ্গ শব্দের আরেকটি অর্থ হলো সূক্ষ
দেহ। এই দেহটিতে যুক্ত
আছে পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয়,৫টি কর্মেন্দ্রিয় এবং ৫
টি প্রাণ অপান বায়ু ,মন ও বুদ্ধি-মোট ১৭ টি অবয়ব
যুক্ত দেহ। সকল সৃষ্টিরই সূক্ষ শরীর আছে। আমাদের
যখন মৃত্যু হয় তখন জীবাত্মা সূক্ষ শরীরে বিচরণ করেন
এবং পুনরায় দেহ ধারণ করেন। শিব রুদ্র ও মহাদেব
এই তিনটি নামই আমাদের মধ্যে বেশি পরিচিত।
যে সূক্ষ শরীরকে আমরা লিঙ্গ
বলে পূজা করি তা সৃষ্টির সূক্ষ শরীর প্রকৃতিতে বীজ
বপনরূপ সূক্ষ বিষয়টিকে দেখানো হয়েছে। যে সূক্ষ
শরীরে ১৭ টি গুণ নিয়ে অবস্থা করছেন তার পুনরায়
স্থুল দেহ ধারণ অন্যদিকে প্রকৃতিতে অর্থাৎ
মাটিতে বীজ বপণ কারণে বীজের সেই সূক্ষ এবং সুপ্ত
শক্তিই অংকুরিত হয়ে বৃক্ষাদি শস্যাদি রূপ ফল
আমাদের দেন। প্রত্যেক দেব-দেবীর বা সৃষ্টির এরূপ
সূক্ষ দেহ আছে, সেই দেহের আহ্ববান করি ঘটে,
পটে(ছবিতে), মূর্তিতে। শিবলিঙ্গও তদ্রুপ সৃষ্টির সূক্ষ
দেহ।
সাকার রূপে এরূপ লিঙ্গ শরীর বা চিহ্ন আমরা সর্বত্রই
ব্যবহার করি। যেমন; একটি দেশের পরিচয় বহন
করে একটি পতাকা। বিষ্ণুমন্ত্রের
যারা অনুসারী তাদের পরিচয় তারা দেন
দেহতে তিলক ফোঁটা অঙ্কিত করে।
ঘটে আমরা দেবদেবীর পুত্তলী এঁকে দেবতার চিহ্ন
বা প্রতীক বসাই। এরূপ দুটি প্রতীক বা লিঙ্গ
বা চিহ্ন আমরা পূজায় ব্যবহার করি। একটি শিব লিঙ্গ
আরেকটি নারায়ণ শিলা। শিব লিঙ্গের গঠন
প্রণালী সহজ হওয়ায় মূর্তি তৈরী থেকে লিঙ্গ পূজায়
আমরা আগ্রহী বেশি। মাটি দিয়ে অতি সহজে অল্প
সময়ে এ প্রতীক তৈরী করা যায়
এবং পূজান্তে বিসর্জনও দেয়া যায়। কিন্তু প্রতীকটির
নাম লিঙ্গ দেয়াতে আমাদের
মধ্যে যে বিভ্রান্তি গড়ে উঠেছে যা সত্যিই দু:খজনক।
অথচ একই প্রতীক ব্যবহৃত হচ্ছে নারায়ণ পূজায়,
তাঁকে নিয়ে এরূপ আচারণ আমরা করি না। বিশেষ
করে শিব-এর সঙ্গে সৃষ্টির কার্যক্রম যুক্ত
থাকাতে আমরা লিঙ্গ শব্দটিকে একেবারে পার্থিব
কাজের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছি। এ
বিভ্রান্তি থেকে আমাদের মুক্ত
হতে হবে এবং আমাদের শিবত্বে উন্নীত হতে হবে।
Tuesday, February 11, 2014
প্রশ্নঃ পড়ার পূর্বে বেদের কোন মন্ত্র পাঠ করতে হয় ?
উত্তরঃ
ওঁ
মেধাং মে বরুনো দদাতি মেধাগ্নিঃ প্রজাপতিঃ।
মেধামিন্দ্রশ্চ বায়ুশ্চ
মেধাং ধাতা দদাতি মে স্বাহা।।
যজুর্বেদ ৩২.১৫
অনুবাদ-
হে প্রকাশমান,প্রজা
পালক প্রভু,আমি যেন
মেধা প্রাপ্ত
হই,মেধাবুদ্ধি ধারন
করতে সক্ষম হই।
হে সর্বব্যপক
পরমাত্মা,আমি যেন
চরাচর জগতের সত্য-
অসত্য বিচারের
বিবেকযোগ্য বুদ্ধি ও
মেধা প্রাপ্ত হই।
জাঁকির নায়েকের জঘন্যতম মিথ্যাচারঃ পর্ব ০৩
বেদ সম্বন্ধে সম্পূর্নই অজ্ঞ জাকির নায়েক দাবী করেছে যে বেদ এ 'আল্লাহ' শব্দটি আছে।তাহলে পরোক্ষভাবে সে স্বীকার করে নিল যে দেবভাষা সংস্কৃত সকল ভাষার আদি এবং আরবি ভাষারও উত্পত্তি ওই সংস্কৃত ভাষা থেকেই!
মূল আলোচনা শুরুর পূর্বে পাঠকদের স্মরন করিয়ে দেই আরবীতে 'আল্লাহ' শব্দটি দুইটি অংশ 'Al'(The) এবং 'Ilah'(Subject of worship) নিয়ে গঠিত।
ঋগবেদ এ ইলা এবং অলা নামক দুটি শব্দ আছে।জাকির যে মন্ত্রেই এই শব্দদুটো পাচ্ছে সেখানেই ইসলামিক তাকিয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রলাপ বকছে যে সঠিকভাবে উচ্চারন করলে তা নাকি আল্লাহ হয়!(নতুন সংস্কৃত উচ্চারন পদ্ধতি আবিস্কার)।আরো মজার বিষয় হল ইলা এবং অলা দুটি আলাদা শব্দ ই কিভাবে একটি নির্দিষ্ট শব্দ(আল্লাহ) নির্দেশ করে?
ভন্ড জাকিরের দাবী(অপ্রকৃতিস্থের প্রলাপ) অনুযায়ী ঋগবেদ ২.১.১১,৩.৩০.১০,৯.৬৭.৩০,১.১৩.৩ এই চারটি মন্ত্রে 'আল্লাহ' শব্দটি রয়েছে।মন্ত্রগুলোর সরলার্থ সহ দেখে নেয়া যাক-
অলাত্নো বল ইন্দ্র ব্রজো গোঃ পুরা হন্তোর্ভয়োমানো ব্যয়ার। সুঘান পথো অক্ষণোন নিরজে গোঃ পরাবন বাণীঃ পুরুহূতং ধমন্তী।। (ঋগবেদ ৩.৩০.১০)
অনুবাদ-হে সমস্ত ইন্দ্রিয়ের চালনাকারী,শান্তিপ্রিয় ব্যক্তিদের বিঘ্ন সৃষ্টিকারীরা অবশ্যই তোমার নিকট শাস্তি প্রাপ্ত হয়।সত্ ও সাধুদের জন্য তুমি পথ করেছ সুপ্রশস্ত। স্পষ্টতই যেহেতু সুক্তটি ইন্দ্রের উদ্দেশ্যে সেহেতু অলা এখানে ইন্দ্রের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
ইলা সরস্বতী মহী তিস্রো দেবির্ময়োভুবঃ। বহিঃ সীদংত্বস্রিধ।। (ঋগবেদ ১.১৩.৯)
অনুবাদ-মাতৃভাষা ¬,মাতৃসভ্যতা ও মাতৃভূমি(ইলা) এইতিন দেবী;তারা যেন কল্যানময়রুপে অন্তঃকরনে অবস্থান নেয় অনন্তকাল। এখানে ইলা মাতৃভূমি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
ত্বমগ্নে অদিতির্দেব দাসুসে ত্বং হোত্রা ভারতী বর্ধসেঘিরা। ত্বমিলা ষতহিমাসি দক্ষসি ত্বং বর্ত্রহা বসুপতে সরস্বতী।। (ঋগবেদ ২.১.১১)
অনুবাদ-হে প্রকাশমান পরমাত্মা,সকলের আশ্রয়দাতা,আমাদের এই স্তব গ্রহন কর।তুমি এই বর্নিল ঋতুময় মাতৃভূমিকে সম্পদশালী কর,নাশ কর অসত্ এর। এখানে ত্বম-ইলা(তুমি ইলা) অর্থাত্ ইন্দ্রের অপর একটি নাম হিসেবে ইলা ব্যবহৃত হয়েছে।
অলায়স্য পরাশুরননশ্য ত্বম পবস্ব দেব সোম। অখুঃ চিদেব দেব সোম।। (ঋগবেদ ৯.৬৭.৩০)
অনুবাদ– হে মঙ্গলদায়ক,ঐশ্বর্যশালী পরমেশ্বর,তুমি সাধুলোকের শত্রুদের ধ্বংস কর,অসত্ এর বিনাশ কর। এখানে অলা বলতে সোমকে নির্দেশ করা হচ্ছে।
জাকির নায়েকের মতে প্রতিটি সংস্কৃত অভিধান এ ই আল্লাহ শব্দটি আছে এবং এর অর্থ হিসেবে ঈশ্বর দেয়া আছে।সবচেয়ে বিখ্যাত সংস্কৃত অভিধান যা Dr. Monier Williams কর্তৃক লিখিত (A Sanskrit-English Dictionary, Motilal Benarasidass, Delhi,1981) এ আল্লাহ বলে কোন শব্দ নেই।যে কাছাকাছি শব্দগুলো সেখানে আছে তা হল অলা যার অর্থ সেখানে দেয়া 'কাঁকড়াবিছের লেজের হুল", অলাত যার অর্থ দেয়া আছে "কয়লা" এবং আল যার অর্থ দেয়া হয়েছে "বিষাক্ত পোকা থেকে নির্গত তরল বিষ।"
অন্যতম বিখ্যাত সংস্কৃত অভিধান (The Student’s Sanskrit-English Dictionary by Vaman Shivaram Apte, Motilal Benarasidass, Delhi, 2005) এ একটি শব্দ আছে যা হল অল্লা যার অর্থ দেয়া হয়েছে "মা"। সুতরাং ইসলামিক অপপ্রচারকদের থেকে সতর্ক থাকুন।
Sunday, February 9, 2014
'শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ' আরবী ভাষায়
মালয়েশিয়ার ডাকটিকেট স্বামী বিবেকানন্দ
•••জানতে হলে পড়তে হবে 2:
•পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের জগন্নাথ মূর্তিটি নিম কাঠে তৈরি ।
•রামের শক্তিশালী ধনুক বিশ্বকর্মা তৈরি করে দেন ।
•মূল ছয়টি রাগের মধ্যে পাঁচটি গেয়েছিলেন শিব । ষষ্ঠটি পার্বতী গেয়েছিলেন ।
•পরশুরামকে কুঠার প্রদান করেন শিব ।
•আমাদের ধর্মমতে বীণা আবিস্কার করেন নারদ ।
•হনুমানের পিতার নাম পবন ।
•সীতা হরণের সময় মারীচ নামক রাক্ষস সোনার হরিণ সেজে লক্ষ্মনকে সীতার কুটির থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ।
•ভীম ও দুর্যোধনকে গদাযুদ্ধ শিখিয়েছিলেন বলরাম ।
•আমাদের ধর্মমতে সংস্কৃত ভাষা ও দেবনাগরী অক্ষর আবিস্কার করেন দেবী সরস্বতী ।
•মহাভারত অনুসারে দধীচির ঊরুর হাড় দিয়ে তৈরি হয় শকুনির পাশা ।
•জতুগৃহ বানিয়ে পান্ডবদের মারবার কথা ভেবেছিল পুরোচন ।
তথ্যসূত্রঃ গীতাই সর্বোচ্চ গ্রন্থ Gita is the Best Book
— wi
মুক্তিযুদ্ধে ২২ লাখের বেশি হিন্দু শহীদ হয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই এক
লাখ হিন্দু নিধন
আমেরিকায় সদ্য
প্রকাশিত একটি বই
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
নিয়ে বড়সড় আলোচনার
ঝড় তুলেছে। প্রিন্সটন
বিশ্ববিদ্যলয়ের
রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক
বিষয়ের অধ্যাপক
গ্যারি জে বাস তার
সম্প্রতি প্রকাশিত “
দি ব্ল্যাড টেলিগ্রাম :
নিক্সন কিসিঞ্জার
অ্যান্ড এ ফরগটন
জেনোসাইড ”
বইতে লিখেছেন, ১৯৭১
সালে মুক্তিযুদ্ধের
শুরুতেই
পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বাংলাদেশের
প্রায় এক লাখ
হিন্দুকে নির্বিচারে খুন
করেছিল।
তৎকলীন পূর্ব
পাকিস্তানে আক্ষরিক
অর্থে চালানো হয়েছিল
গণহত্যা। অসহায়
ভাবে তখন খুন হয় বিপুল
সংখ্যক হিন্দু। নিজেদের
স্বার্থের জন্য তখন
ভারত ও মার্কিন সরকার
চোখ বন্ধ করেছিল বলেও
ঐ বইয়ে উল্লেখ
করা হয়েছে।
বাংলদেশে যখন
আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইবুনালে মুক্তিযুদ্ধের
সময়ের
মানবতা বিরোধী অপরাধের
বিচার কাজ চলছে তখনই
গ্যারি জে বাসের এই
বই তুমুল আলোচনা-
সমালোচনা র সাইক্লোন
বইয়ে দিচ্ছে আমেরিকাসহ
সারা বিশ্বে।
আমেরিকায় এ সপ্তাহের
শুরুতে বইটি প্রকাশিত
হয়।
বইটি বাজারে আসার
সঙ্গে সঙ্গে ৪০ বছর
আগের বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধ
এবং তাকে ঘিরে একাধিক
অস্বস্তিকর প্রশ্ন
সামনে চলে এসেছে।
খবর বর্তমান , পিটিআই
ও ওয়াশিংটনের।
জে বাস তার
বইতে লিখেছেন, ১৯৭১
সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ
শুরুর আগেই পাকিস্তান
সেনাবাহিনী তৎকালীন
পূর্ব
পাকিস্তানে আক্ষরিক
অর্থেই
গণহত্যা চালিয়েছিল।
আর সর্বত্রই টার্গেট
করা হয়েছিল হিন্দু
সম্প্রদায়ভুক্ত
বাঙালীদের । যুদ্ধের
শুরুতেই অসহায় অবস্থায়
খুন হয়েছিলেন প্রায় ১
লাখ হিন্দু ।
অথচ আশ্চার্যজনকভাবে
বিষয়টিকে ছোট
করে দেখিয়েছিল সেই
সময়ে ভারতের ক্ষমতায়
থাকা ইন্দ্রিরা গান্ধির
কংগ্রেস সরকার। শুধু
তাই নয়,
অদ্ভুতভাবে চোখ বন্ধ
করে রেখেছিল মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ তম
প্রেসিডেন্ট রিচার্ড
নিক্সন। এই
নিরবতা কেন ? এমন
প্রশ্ন তুলেছেন জে বাস
তার বইতে।
শুধু মার্কিন প্রশাসন
নয়, তখনকার ভারত
সরকারের তীব্র
সমলোচনা করেছেন
লেখক জে বাস।
তিনি দাবি করেছেন,
বাংলাদেশে যখন
প্রত্যেকদিন নিয়ম
করে হিন্দু নিধন চলছিল
তখন ভারত সরকার
বিষয়টির আসল গুরুত্ব
প্রকাশে রাজি ছিলনা।
কারণ,
ইন্দিরা গান্ধি সরকার
চায়নি তখনকার
বিরোধী দল জনসংঘ
তথা আজকের বিজেপি এই
নিয়ে রাজনীতি করার
সুযোগ পাক।
পাক সেনারা যখন
নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে তখন
ভারতের সংসদ
সদস্যরা গোলাবারুদ
দিয়ে হিন্দুদের
সাহায্য করেনি। কারণ
সেই একটাই,
যদি গোলাবারুদ
দেওয়া হয় ,
তাহলে গোটা গণহত্যার
বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসবে।
আর
তা নিয়ে রাজনীতি করবে জনসংঘ
বা বিজেপি।
বইয়ে তিনি আরো লিখেছেন,
তখন
পাকিস্তানী জেনরেল
ইয়াহিয়ার হিন্দু
নিধনের
পক্ষে যুক্তি ছিল যে,
পূর্ব পাকিস্তানের মোট
জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ
বাঙালি হিন্দু।
এরা ইসলাম বিরোধী।
এরা পাকিস্তানের
বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায়
তারা পরাজিত হয়েছেন।
“ভবিষ্যতে শাসন
কায়েম
রাখতে পাকিস্তানের
বিরুদ্ধে থাকা হিন্দু
বাঙালিদের স্রেফ
ছেঁটে ফেলা দরকার”
বলে মন্তব্য করেন
ইয়াহিয়া।
বইতে উল্লেখ
করা হয়েছে,
অভিযনে নেতৃত্ব
দেওয়া লেফটেন্যান্ট
জেনারেল
টিক্কা খানের
যুক্তি ছিল যে, “পূর্ব
পাকিস্তান ভারতের
দাসত্ব করছে। বহু
ত্যাগের পর
যে স্বাধীনতা এসেছে তাকে এবং দেশটাকেই
আওয়ামীলীগ ধ্বংস
করে দেবে।”
তখন পাক
সেনারা একে অপরের
সঙ্গে মজা করে বলত,“আজ
কত হিন্দু মেরেছ ?”
জে বাস লিখেছেন,
সশস্ত্র পাক সেনাদের
সঙ্গে পূর্ব
পাকিস্তানের প্রায় এক
কোটি নিরস্ত্র হিন্দুর
অসম লড়াই হয়েছিল।
ভারতের সহযোগিতার
কলঙ্ক এবং নয়াদিল্লির
উদ্দেশ্য সাধনের
অভিযোগের
তকমা লাগানো হয়েছিল
তৎকালীন পূর্ব
পাকিস্তানের হিন্দুদের
গায়ে।
যে কারণে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী হিন্দুদের
ওপর চালিয়েছিল
মর্মান্তিক গণহত্যা।
বাংলাদেশের হিন্দু
সংগঠনগুলোর হিসেব
মতে, মুক্তিযুদ্ধে ২২
লাখের বেশি হিন্দু
শহীদ হয়েছেন।
এছাড়া ওই সময় প্রায় ১
কোটি বাঙালি আশ্রয়
নিয়েছিল ভারতের
শরণার্থী শিবিরগুলোতে।
দি ব্ল্যাড টেলিগ্রাম :
নিক্সন কিসিঞ্জার
অ্যান্ড এ ফরগটন
জেনোসাইড
বইতে গ্যারি জে বাস
আরো লিখেছেন, ঢাকায়
নিযুক্ত তৎকালীন
মার্কিন রাষ্ট্রদূত
আর্চার ব¬াড
ভেবেছিলেন, হিন্দুদের
নিধন
বা তাড়নো নিয়ে বেশি হইচই
করার প্রয়োজন নেই।
বইতে সে সময়
ভারতে নিযুক্ত মার্কিন
রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যও
স্পষ্ট উলে¬খ
করা হয়েছে। তিনি এক
বৈঠকে রিচার্ড
নিক্সনকে স্বয়ং জানিয়েছিলেন,
পাকিস্তান
সেনাবাহিনী পূর্ব
পাকিস্তানে গণহত্যা চালাচ্ছে।
আতঙ্কে প্রতিদিন প্রায়
দেড় লক্ষ মানুষ
ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য এক সময়
কিসিঞ্জার
নাকি বলেছিলেন,
ইয়াহিয়া খান আবার
একটা মূর্খের মতো ভুল
করলো হিন্দুদের
তাড়িয়ে। যদিও সেই
বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের
কথার কোন উত্তর
দেননি কিসিঞ্জার।
জবাব
মেলেনি নিক্সনের পক্ষ
থেকেও।
ভারত এবং আমেরিকার
নিজস্ব স্বার্থ
এবং নিরবতার কারণেই
বাংলাদেশে পাকিস্তান
সেনাবাহিনী নিরস্ত্র
হিন্দুদের
নির্বিচারে খুন
করতে উৎসাহ পেয়েছিল
বলে মনে করেন জে বাস।
৪০ বছর পর এই তথ্য
১৯৭১ সালের
মুক্তিযুদ্ধে নতুন
মাত্রা যোগ করলো।

মিথ্যাবাদী জাকিরের পবিত্র ও সত্য বৈদিকধর্মের সম্বন্ধে মিথ্যাচার পর্বঃ০১
আমরা জানি যে আব্রাহামিক ধর্মসমূহের বিভিন্ন পুস্তকাদিতে তাদের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিদের হারেমে যৌনদাসী রাখার কথা পাওয়া যায়।সেই লজ্জা ঢাকতেই জাকির নায়েক দাবী করলেন যে বৈদিক ধর্মেও নাকি তাদের মতই যৌনদাসীর কথা বলা আছে!
এ ব্যপারে তিনি দাবী করেছেন যে ঋগ্বেদ ৬.২৭.৮ নাকি যৌনদাসীর কথা বলেছে!অথচ সেখানে দেখা গেল এরকম কিছুই নেই!প্রকৃতপক্ষে মন্ত্রটি একজন দেশপ্রেমিক রাজার তার মন্ত্রীদের সহযোগে দেশকে সুখী রাখার রাষ্ট্রনীতি ব্যখ্যা করেছে। দেখে নেয়া যাক মন্ত্রটি কি বলছে-
"দ্বয়ান অগ্নে রথিনো বিংশতিং গা বধূমতো মঘবা মহ্যং সম্রাট।
অভ্যাবর্তী চাযমানো দদাতি দূনাশেয়ং দক্ষিনা পার্থবানাম।।"
(ঋগ্বেদ ৬.২৭.৮)
অনুবাদ-অগ্নি,হে প্রকাশমান পরমাত্মা,সমস্ত শক্তি,ঐশ্বর্য্য, সম্মান ও প্রশংসার উত্স,সকল সত্যের জয় ও প্রগতির দাতা,সকলের বরনীয়,আমি যেন দেশকে সুখী করার ও জনগনকে ভালো করার জন্য সুসজ্জিত রক্ষাবাহিনী ও বিশজন সুদক্ষ মন্ত্রীরুপ দ্বিরথ অর্জন করতে পারি।
জাকির নায়েক আরো বলেছে যে শ্রীমদ্ভগবদগীতার ১.৪০ এ নাকি মেয়েদেরকে বংশ নষ্টের জন্য একমাত্র দায়ী বলেছে!অথচ শ্লোকটি হল-
অর্জুন বলছে,
"হে কৃষ্ণ! অধর্মের অতি বাড় হলে কুলের স্ত্রীগন এর চরিত্রও নষ্ট হয় আর তা হলে বর্ণসঙ্কর উত্পন্ন হয়।"
অর্থাত্ যদি কুলের পুরুষরা অধর্মের বাড় করে তখন ধীরে ধীরে নারীরাও দুশ্চরিত্র হয়ে পড়ে,আর এতে ব্যভিচারাদি বেড়ে যায়!
এর চেয়ে সত্য কথা আর কি হতে পারে!
এইসব ভন্ডামী ও মিথ্যাচারীতা থেকে সাবধান থাকুন...
মোহাম্মদ মজিদ এখন ধর্ম দাস হলেন।
মুসলিম পরিবারে জন্মে ছিলেন মোহাম্মদ মজিদ। শান্তির খোঁজ করেও কখনো শান্তির দেখা পায়নি মোহাম্মদ মজিদ।।তিনি এক চিলতে শান্তির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন,ভেবে দেখেছেন বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে। অবশেষে খুঁজে পেলেন শান্তির ধর্ম, গ্রহন করলেন "হিন্দু ধর্ম"। মোহাম্মদ মজিদ এখন ধর্ম দাস হলেন।এটা আমার কথা নয় ধর্ম দাসের কথা।বাস্তরিত জানতে নিচের লিংঙ্কে ক্লিক করুন।
http://www.hinduhumanrights.info/majid-khan-to-dharam-dass-returning-back-to-my-ancestral-roots/

জানতে হলে পড়তে হবে:
1)শ্রীমদ্ভাগবদগীতার জ্ঞান সর্বপ্রথম লাভ করেন সূর্যদেব ।
2)কুরুক্ষেত্রের ময়দানে সর্বশেষ মৃত্যুবরণকারী যোদ্ধা পিতামহ ভীষ্ম।
3)ব্রহ্মান্ড নির্মানের সময় প্রথম শব্দটি ছিল ওম।
4)ঈশ্বরের প্রথম সাকার রূপ মহাবিষ্ণু।
5)ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে নরককুন্ডের সংখ্যা ৮৬ টি।
6)বেদে কে চার ভাগে ভাগ করেন মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ বেদব্যাস।
7)বেদে ভগবান শিব কে আমরা রুদ্র নামে জানি ।
8)বৈদিক যুগে দেবতাদের প্রসন্ন করবার মাধ্যম ছিল যজ্ঞ। শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের রচয়িচা বেদব্যাস।
9)ইন্দ্রের সভার নাম সুধর্ম ।
10)দ্বারকা নগরী ভারতের গুজরাট রাজ্যে অবস্তিত
মহাভারতে কর্নের পালক বাবার নাম অধিরথ।
11)স্বর্গের রাজধাণীর নাম অমরাবতী।
12)ভগবান বিষ্ণুর বুকে ঋষি ভৃগুর পদচিহ্ন রয়েছে ।
13)ভগবান বিষ্ণুর তিন ধরনের নাগেরউপর শয়ণ থাকেন যথা -পঞ্চনাগ , শীষনাগ এবং অনন্তনাগ
14)শ্রীচৈতন্য ব্রাহ্মণ বর্নে জন্ম গ্রহন করেন (পরে প্রত্যাখান করেন)
15)ভগবান বিষ্ণুর নাভি কমল থেকে উত্পত্তি ব্রহ্মার।
16)শ্রীশ্রীচন্ডীতে ও গীতাতে শ্লোক সংখ্যা ৭০০টি
17)দেবী মাহাত্ম পাঠ করেন ঋষি মেধস।
18)শ্রীশ্রীচন্ডী মতে প্রধান তিনজন দেবী মহালক্ষী, মহাকালী. মহাসরস্বতী।
শ্রীকৃষ্ণের পায়ে শরবিদ্ধ করেন জরা।
19)কালিকা পুরাণ মতে মহিষাসুর দেবী দূর্গার সাথে যুদ্ধের পূর্বে ভদ্রা কালী আরাধনা করেন
20)এই পৃথিবীর জন্ম মধু এবং কৈটভের ভষ্ম থেকে।
হিন্দু দেব-দেবীদের ছবি দিয়ে ৭টি ডাক টিকিট প্রকাশ করলো আমেরিকা।
শুনে অবাক হলেও এটা চরম সত্য ! এই ডাক টিকিট গুলো মধ্যে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, সাই বাবা,মুরুগণ, গনেশ, লক্ষী, লর্ড ভেঙ্কটেশ্বর, এবং মহাদেব শিব ও পার্বতী । প্রতিটি টিকিটের মূল্য ৪৪ সেন্ট (পয়সা ) !প্রতিটি ধর্মকে সন্মান করতে আমেরিকার এই উদ্যেগ ! তাদের এই উদ্যেগকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।যারা আমেরিকায় থাকেন তারা এই ডাক টিকিট বেশি বেশি কিনে হিন্দু ধর্ম প্রচারে ভুমিকা রাখুন।আমেরিকায় ২.৫ মিলিয়ন এর বেশী হিন্দু রয়েছে।সেখানকার হিন্দু সংস্থাগুলো দীপাবলীর ডাকটিকিট এর জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তার জন্য দরকার ভোট বা সাইন ইন. নিচের লিঙ্কে ভোট বা "সাইন ইন" করে আমেরিকার হিন্দুদের সাহায্য করুন : http://www.petitiononline.com/diwali03/petition.html

ভারতীয় হিন্দু সত্য নাদেলার আগমন, বিদায় বিল গেটসের
মার্কিন
সফটওয়্যার
নির্মাতা মাইক্রোসফটের
নতুন সিইও
হিসেবে নিয়োগ
পেয়েছেন ভারতীয়
বংশদ্ভুত
সত্যনারায়ণ
নাদেলা। স্টিভ
বলমার সিইও পদ
থেকে সরে দাঁড়ানোর
পর বিশ্বের
অন্যতম
প্রভাবশালী বলে বিবেচিত
এই
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে তৃতীয়
ব্যক্তি হিসেবে ৪৬
বছর
বয়সী নাদেলা শীর্ষ
পদে এলেন। অপর
দিকে প্রতিষ্ঠানটির
সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও
প্রথম সিইও বিল
গেটস
মাইক্রোসফটের
চেয়ারম্যান পদ
থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার
মাইক্রোসফটের
ওয়েবসাইটে নাদেলার
নিয়োগের
খবরটি প্রকাশ
করা হয়েছে।
তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে ২২
বছর ধরে কাজ
করছেন।
সিইও নিয়োগ পাবার
আগে নাদেলা মাইক্রোসফটের
ক্লাউড অ্যান্ড
এন্টারপ্রাইজ
গ্রুপের
নির্বাহী ভাইস
প্রেসিডেন্ট
হিসেবে কাজ
করেছেন।
প্রযুক্তি বিশ্বে বিল
গেটেসের বিদায়ের
চেয়ে নাদেলার
নিয়োগকে গুরুত্বপূর্ণ
হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিল গেটস
দীর্ঘদিন ধরেই
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার
কথা বলে আসছিলেন।
অতীতে তিনি একাধিকবার
তার প্রতিষ্ঠিত
দাতব্য প্রতিষ্ঠান
বিল অ্যান্ড
মেলিন্ডা গেটস
ফাউন্ডেশন
নিয়ে পুরোপুরি ব্যস্ত
থাকার
ইচ্ছা প্রকাশ
করেছেন।
সত্য নাদেলার
নিয়োগকে প্রযুক্তিবাজারে মাইক্রোসফটের
ঘুরে দাঁড়ানোর
লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ
পদক্ষেপ
হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
যে ডেস্কটপ
কম্পিউটারকে ভিত্তি করে আশি ও
নব্বই
দশকে মাইক্রোসফটের
উত্থান ও প্রসার,
গত এক
দশকে বিশ্বে প্রযুক্তিচিত্র
তার তুলনায় যথেষ্ট
পাল্টে গেছে।
অন্যান্য নির্মাতা,
বিশেষ
করে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপলের
প্রভাবে প্রযুক্তিবাজার
এখন স্মার্টফোন
এবং ট্যাবলেটমুখি।
এমন বাস্তবতায়
‘মাইক্রোসফট
সম্ভবত
ক্লাউডকে বিবেচনা করছে নতুন
প্রযুক্তিক্ষেত্র
হিসেবে’-মন্তব্য
করা হয়েছে মার্কিন
বাণিজ্য দৈনিক
ওয়াল স্ট্রিট
জার্নালের
সাম্প্রতিক এক
নিবন্ধে।
২০১১
সালে ক্লাউডভিত্তিক
সেবার দায়িত্ব
নেয়ার পর দুই
বছরে তার
অধীনে বিভাগের
আয় ১৬.৬ বিলিয়ন
ডলার থেকে ২০.৩
বিলিয়নে দাঁড়ায়।
বর্তমানে মাইক্রোসফটের
আয়ের প্রায় দুই
তৃতীয়াংশই যোগান
দেয় এই বিভাগ।
ভারতের
হায়দ্রাবাদে ১৯৬৭
সালে জন্মগ্রহন
করা নাদেলা স্নাতক
ডিগ্রি অর্জন
করেন কর্ণাটকের
মণিপাল
ইনস্টিটিউট অফ
টেকনোলজিতে।
এরপর
তিনি ইউনিভার্সিটি অফ
উইসকনসিন-
মেলওয়াকি থেকে কম্পিউটার
সায়েন্সে মাস্টার্স
এবং ইউনিভার্সিটি অফ
শিকাগো বুথ স্কুল
অফ বিজনেস
থেকে এমবিএ
অর্জন করেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)